Header Ads

test

বাথরুমে গোসল করার সময় যেই ভুলের জন্য Brain Strock হয়। বলছে চাঞ্চল্যকর তথ্য বিজ্ঞানীদের

 নিজস্ব প্রতিবেদন 




হ্যালো বন্ধুরা, আমরা জানি যে বর্তমানে আমাদের সমাজে প্রচুর পরিমাণে হার্ট অ্যাটাক ও ব্রেন Stroke এর মতো ঘটনা ঘটছে 


যার বেশির ভাগই ঘটনা ঘটে থাকে বার্থরুমে 

যে ভুলটির জন্য ব্রেন স্ট্রোক হয় এই ভুল আপনিও করছেন নাতো। 

কিন্তু কেনো বাথরুমেই বেশির ভাগ মানুষের

ব্রেন স্ট্রোক হয়,  

বন্ধুরা চিকিৎসা বিজ্ঞানের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে জানা গেছে,  যে সমস্ত  মানুষের ব্রেন স্ট্রোক হয় তারা বেশির ভাগই মানুষ একটি ভুল করার জন্য  তাদের এই ঘটনার স্বীকার হতে হয়, 




বেশিরভাগ  স্ট্রোক বাথরুমে কেনো হয় জানেন??

স্ট্রোক সাধারণত বাথরুমেই বেশি হয়ে থাকে কারন,বাথরুমে ঢুকে গোসল করার সময় আমরা প্রথমেই মাথা এবং চুল ভেজাই যা একদম উচিৎ নয়। এটি একটি ভুল পদ্ধতি।

এইভাবে প্রথমেই মাথায় পানি দিলে রক্ত দ্রুত মাথায় উঠে যায় এবং কৈশিক ও ধমনী একসাথে ছিঁড়ে যেতে পারে। ফলস্বরূপ ঘটে স্ট্রোক অতঃপর মাটিতে পড়ে যাওয়া।

বিশ্বের একাধিক গবেষণা রিপোর্ট অনুযায়ী, গোসলের সময় স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বা পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। চিকিৎসকদের মতে, গোসল করার সময় কিছু নিয়ম মেনে গোসল করা উচিত।

সঠিক নিয়ম মেনে গোসল না করলে হতে পারে মৃত্যুও। গোসল করার সময় প্রথমেই মাথা এবং চুল ভেজানো একদম উচিৎ নয়। কারণ, মানুষের শরীরে রক্ত সঞ্চালন একটা নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় হয়ে থাকে। শরীরের তাপমাত্রা বাইরের তাপমাত্রার সঙ্গে মানিয়ে নিতে কিছুটা সময় লাগে। চিকিৎসকদের মতে, মাথায় প্রথমেই পানি দিলে সঙ্গে সঙ্গে রক্ত সঞ্চালনের গতি বহু গুণ বেড়ে যায়।তাই স্ট্রোকের ঝুকি বাড়ে..!

তা ছাড়া মাত্রাতিরিক্ত রক্তচাপের ফলে মস্তিষ্কের ধমনী ছিঁড়ে যেতে পারে।

তাই গোসল করার সময় প্রথমে পায়ের পাতা ভেজাতে হবে। এরপর আস্তে আস্তে উপর দিকে কাঁধ পর্যন্ত ভেজাতে হবে। তারপর মুখে পানি দিতে হবে। সবার শেষে মাথায় পানি দেওয়া উচিত।

উল্লেখ্য যে আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও গোসলের আগে অজু করে আগে ডান এবং পরে বাম কাধে পানি দিয়ে পরে মাথা সহ সর্ব শরীরে পানি দিতেন।

এখান থেকে আমরা কী বুঝলাম ! ! আজ থেকে প্রায় ১৪০০ বছর আগে এমন আধুনিক বিজ্ঞান ছিলো না ।

আসলে কুরআন শরীফ ই বিজ্ঞানের মূল উৎস। 


মহান আল্লাহ রব্বুল আলামিন পবিত্র কুরআনে যা আদেশ করেছেন এবং যা নিষেধ করেছেন সবই মানব জাতির কল্যাণের জন্য । আজ প্রায় ১৪০০ বছর পর আধুনিক বিজ্ঞান তার প্রমাণ পাচ্ছেন।

তাহলে মুসলিম হয়ে কি আমরা ❝আল্লাহু আকবর❞ বলতে পারি না...?

 





৩টি কাজ করার মাধ্যমে ফরজ গোসল করতে হয়। আবার ৪ কাজ থেকে অব্যহতির পর গোসল ফরজ হয়। কিন্তু গোসল কী? গোসল ফরজ হওয়ার কারণগুলো কী? আর ফরজ গোসলে করণীয় ও সর্বোত্তম নিয়মই বা কী?


গোসল কি?গোসল আরবি শব্দ। অঞ্চলভেদে একে অনেকে গোসল করা বললেও কেউ স্নান করা, নাইতে যাওয়াও বলে থাকে। তবে আরবি গোসল শব্দের অর্থ হচ্ছে পুরো শরীর ধোয়া। আর ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায় পবিত্রতা ও আল্লাহর নৈকট্য পাওয়ার উদ্দেশ্যে পবিত্র পানি দ্বারা পুরো শরীর ধোয়াকে ‘গোসল’ বলা হয়।

গোসল ফরজ হওয়ার কারণসুনির্দিষ্ট চার কারণের যে কোনে একটি সংঘটিত হলেই গোসল ফরজ হয়। তাহলো-১. জানাবাত থেকে অপবিত্রতা থেকে পবিত্রতা হওয়ার গোসল। এটি নারী-পুরুষের যৌন মিলন, স্বপ্নদোষ বা যে কোনো উপায়ে বীর্যপাত হলে। আল্লাহ তাআলা নির্দেশ দেন-وَإِن كُنتُمْ جُنُبًا فَاطَّهَّرُواْ ‘আর যদি তোমরা অপবিত্র হও তবে সারা দেহ পবিত্র করে নাও।’ (সুরা : মায়েদা, আয়াত : ৬)২. মাসিক বন্ধ হওয়ার পর নারীদের পবিত্র হওয়ার জন্য গোসল করা ফরজ। ৩. সন্তান প্রসবের পর নেফাসের রক্ত বন্ধ হলে পবিত্র হওয়ার জন্য নারীদের গোসল করা ফরজ।৪. আর জীবতদের জন্য মৃত ব্যক্তিকে গোসল দেওয়া ফরজ।

গোসলের ফরজ কাজউল্লেখিত অপবিত্রতা থেকে পবিত্র হতে ৩টি কাজ করা ফরজ। যথাযথভাবে এ ৩ কাজ আদায় না করলে গোসলের ফরজ আদায় হবে না। কাজ তিনটি হলো-১. কুলি করা । (বুখারি, ইবনে মাজাহ)২. নাকে পানি দেওয়া। (বুখারি, ইবনে মাজাহ)৩. সারা শরীর পানি দিয়ে এমনভাবে ধোয়া যাতে দেহের চুল পরিমাণ জায়গাও শুকনো না থাকে। (আবু দাউদ)



তবে ফরজ গোসল সম্পন্ন করার সর্বোত্তম নিয়ম হলো-১. বিসমিল্লাহ বলে শুরু করা। বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম (بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيْم) বলে গোসল শুরু করা। তবে গোসলখানা ও টয়লেট একসঙ্গে থাকলে বিসমিল্লাহ মুখে উচ্চারণ করে বলা যাবে না।২. হাত ধোয়া। অর্থাৎ উভয় হাতের কব্জি পর্যন্ত ধোয়া।৩. লজ্জাস্থান ধোয়া। বাম হাতে পানি দ্বারা লজ্জাস্থান পরিস্কার করা। সম্ভব হলে ইস্তিঞ্জা তথা পেশাব করে নেওয়া। এতে নাকাপি সম্পূর্ণরূপে বের হয়ে যাবে।৪. নাপাকি ধোয়া। কাপড়ে বা শরীরের কোনো অংশে নাপাকি লেগে থাকলে তা ধুয়ে নেওয়া।৫. ওজু করা। পা ধোয়া ছাড়া নামাজের অজুর ন্যয় অজু করে নেওয়া।৬. অতঃপর ফরজ গোসলের তিন কাজ- কুলি করা, নাকে পানি দেওয়া এবং পুরো শরীর ভালোভাবে ধুয়ে নেওয়া। যাতে শরীরের একটি লোমকুপও শুকনো না থাকে।৭. পা ধোয়া। সবশেষে গোসলের স্থান থেকে একটু সরে এসে উভয় পা ভালোভাবে ধোয়া।

কোন মন্তব্য নেই